চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর নানা অভিযোগ
আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী সামিউল হক লিটনের মোবাইল ফোন প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তাঁর সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। আজ সোমবার জেলা শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে সামিউল হক লিটন বলেন, ‘আমার পক্ষে কাজ করায় বটতলা হাট এলাকায় আমার কর্মী জাহেদুল, সোহেল রিপনকে মারধর করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বরোড মোড় এলাকার মিলন, শহরে দুলাল এবং দিদারকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোন প্রতীকের ১৩টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এসব ঘটনার জন্য পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহর জুড়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
এসব ঘটনার জন্য শহরের কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দায়ী করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাননি সামিউল হক লিটন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে তিন দফা আবেদন করেন।’
লিটন অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে নৌকার কর্মীরা তাদের নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা নিয়েছে।’
আগামী পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান এই পদপ্রার্থী।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করেনি, আগামীতেও করব না। এটার অপপ্রচার। এই অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আগামী ৩০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ মোট চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।