ছাত্রলীগে পদের জন্য অর্থ লেনদেন, অভিযোগকারীকেই বহিষ্কার
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ন্যায়বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অভিযোগ দেন মাহতাবুর আলম জাপ্পি। এর মধ্যে তাঁকেই সাময়িক বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে পাঠানো অভিযোগপত্রে মাহতাবুর আলম জাপ্পি উল্লেখ করেন, ‘আমাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ার কথা বলে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি আমার কাছ থেকেও বেশ কিছু অর্থ হাতিয়ে নেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নগদ, ব্যাংক এবং অন্যান্য মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এ দুই প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা।’
এই লেনদেনের মোবাইল রেকর্ডিং, টাকা লেনদেনের রসিদ, ছাত্রলীগের প্যাডে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কমিটির পত্র ও আর্থিক লেনদেনের অন্যান্য প্রমাণপত্র আছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ছাত্রলীগ কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পি।
তবে সে অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা অস্বীকার করলেও যারা পদের জন্য টাকা দিয়েছে বা নিয়েছে, উভয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও অভিযোগকারী ছাত্রলীগ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং হবিগঞ্জ জেলা শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ছাত্রলীগ কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাময়িক বহিষ্কারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।