জনগণের আন্দোলন সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে : প্রিন্স
জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী গণবিরোধী ও গণতন্ত্র বিধ্বংসী এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।’
আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ মন্তব্য করেন।
প্রিন্স বলেন, ‘আমরা গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ইউনিয়ন পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে মামলাবাজ, জুলুমবাজ সরকার ও আওয়ামী লীগের গায়েবি মামলার কথা অবহিত করেছিলাম। পদযাত্রার ৪ দিন পার হতে যাচ্ছে অথচ গায়েবি মামলার মিছিল থামছেই না। এই গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চলছে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও হয়রানি।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরে এ ধরনের এক গায়েবি মামলায় ২১ নং আসামি করা হয়েছিল ফুলপুর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে চানু মিয়াকে (৪০)। তিনি বিএনপির কোন নেতা কিংবা কর্মী নন, অতি সাধারণ একজন খেটে খাওয়া মানুষ। অথচ ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসূচির দিন রাতে তাকে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা তার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঠিয়ে হয়রানি করে, হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ফুলপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে সেখানেই জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি মানসিকভাবে চরম ভেঙে পড়েন এবং এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই মৃত্যুর দায় অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকেই নিতে হবে।’
বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক বলেন, সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা জ্যামিতিক হারে ঘটেই চলেছে। এ ধরনের গায়েবি মামলায় শহর থেকে গ্রাম নিরীহ সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে বিরত রাখার জন্য ভীত সন্ত্রস্ত রাখা হচ্ছে। তবে আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর এই ভোঁতা কৌশলে সাধারণ মানুষসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না।
প্রিন্স বলেন, ‘দমন-নিপীড়নের সত্য ঘটনাকে গণবিচ্ছিন্ন সরকারের মন্ত্রী-নেতারা যতই গল্প হিসেবে অভিহিত করুন না কেন শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অসত্য বয়ানে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। জনগণ এখন ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনতার এই জাগরণ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেনে বুঝেও নিজেদের বাঁচাতে মরণকামড় দেওয়া শুরু করেছে। তবে সময় খুবই সন্নিকটে যখন জাগ্রত মানুষের মরণছোবলে সরকারের ক্ষমতার অবৈধ মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’