জনস্রোত দেখে সরকারের কম্পন ধরে গেছে : হারুন অর রশিদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াইয়ে নেমেছে। কেউ তাদের থামাতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের এ জনস্রোত দেখে সরকারের কম্পন ধরে গেছে।
আজ শনিবার বিকেলে রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে যারা উপস্থিত হয়েছেন সবাইকে শুভেচ্ছা। আওয়ামী লীগ বলছে খেলা হবে। তারা বলছে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে নাকি খেলা হবে। আমি বলবো বাংলাদেশের মানুষতো গত ১৫ বছর ধরেই খেলা দেখছে। দিনের ভোট রাতে করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন। বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী যিনি বার বার নির্বাচিত হয়েছেন, গণতন্ত্রের মা, আমাদের মাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করে রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ যিনি দেশের বাইরে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশের জনপ্রিয় উদীয়মান নেতা তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
হারুন আল রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন কথা বলে বেড়াচ্ছেন। আমি বলবো জোকারি বাদ দেন। আমাদের গণসমাবেশকে থামানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গত দশদিন ধরে আমরা মানুষের কাছে গিয়ে দেখেছি, কেউ এক মুহূর্তের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষের মৌলিক অধিকার নষ্ট করছেন। গাইবান্ধার নির্বাচনে চোর ডাকাতদের চিহ্ণিত করেছি। কিন্তু সরকার থেকে এ চোর ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখনো কোনো ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষায় আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।
এমপি হারুন বলেন, এমন খেলা দেখাবেন না যাতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। ধর্মঘটের নামে হরতাল দিয়ে মানুষকে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন। আত্মীয় মারা যাওয়ার পরও জানাজায় যেতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াইয়ে নেমেছে। কেউ তাদের থামাতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের এ জনস্রোত দেখে সরকারের কম্পন ধরে গেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রয়োজনে দশদিন আগে ঢাকায় উপস্থিত হতে হবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ১০ বিভাগে গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রথম কর্মসূচি পালন করে। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে। সর্বশেষ ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে বিএনপি।
আগামী নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির তৃতীয় ধাপের কর্মসূচি শেষ হবে। এরপর নতুন কর্মসূচি আসবে বলে জানান বিএনপি নেতারা।