জরিমানা-নিষেধাজ্ঞার পরেও চলছে সরকারি জমির বালু ও মাটি কাটা
জরিমানা-নিষেধাজ্ঞার পরেও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাল হোসেন ও আনু মোড়লের নেতৃত্বে সরকারি জমি থেকে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটা অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গতকাল বৃহস্পতিবার জরিমানা আদায়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজ শুক্রবার সকালে বলেন, অবৈধভাবে সরকারি ভূমি খনন করে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সরকারি জমির মালিকানা নিজেদের দাবি করে এস্কেভেটর দিয়ে নদীর পাড়ের সরকারি উচু জমি খনন করে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কোটি টাকার বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করে দিয়েছে জড়িতরা।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম ইবনে মিজান ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারিঘাটের পূর্বপাড়ে ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ভ্যাকু চালক, সোহেল, ফেরদৌস আলমসহ চার জনকে আটক করেন। এসময় আটক সোহেল ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন, বালু তোলা হচ্ছে জামাল হোসেন ও আনু মোড়লের কথায়। পারলে তাদের ধরেন।
পরে তাদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর এসিল্যান্ড এএইচএম ইবনে মিজান। এসময় সিটি করপোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন ও আনু মোড়ল জরিমানার টাকা পরিশোধ করে আটকদের ছাড়িয়ে নেন।
কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পরে পুনরায় সরকারি জমি খনন করে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)এএইচএম ইবনে মিজান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুনরায় একই অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।