জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ভৈরবকে জেলার দাবি
শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ভৈরবের এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই স্বপ্নের কথা জানান। পরে তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণার কথ বলেছিলেন।
আজ রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকারি কেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সেই স্মৃতি স্মরণ করেন আলোচকরা।
আলোচকরা এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান অবিলম্বে ভৈরবকে জেলা হিসেবে উন্নীত করে জিল্লুর রহমানের স্বপ্নকে পূরণ করতে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় জিল্লুর রহমান ছিলেন তাঁর একান্ত বিশ্বস্ত সহচর। তাই ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিত্ব এবং কারাবাস-এই দুই প্রস্তাবনায় তিনি দ্বিতীয়টি অর্থাৎ কারাবাসকেই বেছে নিয়েছিলেন।
২০০৬ সালে দেশের তথাকথিত ১/১১ পরবর্তী সময়ে জিল্লুর রহমান ‘নো হাসিনা, নো ইলেকশন’-এই দাবিতে অটল থাকেন। ফলে ওই সময়ের কুশীলবরা শেখ হাসিনাকে কারামুক্তি দিয়ে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বাধ্য হন। জাতির জনক ও তাঁর কন্যার এমন বিশ্বস্ত অনুরাগীর স্বপ্ন পূরণ না হওয়াকে বক্তারা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু জিল্লুর রহমান নন-তাঁর স্ত্রী, মহিলা লীগনেত্রী বেগম আইভি রহমানও জাতির জনক এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একান্ত অনুরাগী ছিলেন। তিনিও দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল-চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সাবেক একান্ত সচিব মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ প্রমুখ।
পরে জিল্লুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়, মিলাদ ও কাঙালিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি, কালোব্যাজ ধারণ, প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।