জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি চীনফেরত যুবক
করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীন থেকে ফেরা তাজবিদ হোসেন (২৫) নামের এক যুবক জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
অসুস্থ তাজবিদ হোসেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তাজবিদ চীনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। গত ২৯ জানুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাড়ি আসেন। শনিবার সকালে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হলে পরিবারের লোকজন তাঁকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রংপুরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রতিবেশী শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘চীন থেকে ফেরার পর শনিবার জ্বর হলে আতঙ্কিত হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান তাজবিদ।’
এদিকে তাজবিদ রমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, ‘তাজবিদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা এখনো নিশ্চিত নই। এখানে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁর রক্তসহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
রমেকের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এখন সে খুবই ভালো আছে। তাঁর ব্লাড প্রেশার, পালস, টেম্পারেচার সবকিছুই ভালো আছে। তাও আমরা কথা বলেছি, একটি টিম পাঠানো হবে, তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপর যা ধরা পড়বে, পরে জানা যাবে।’
তাজবিদের পরিবারের বরাত দিয়ে ডা. নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাজবিদ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে গিয়েছিলেন। সেখানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তিনি। যে উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে, উনি তার পাশে ২০০ কিলোমিটার দূরে আরেক প্রদেশে থাকেন। উনি ২৯ তারিখ বাংলাদেশে পৌঁছান। ওই রাতে তিনি ঢাকাতেই ছিলেন। পরের দিন ট্রেনে করে উনার দেশের বাড়িতে যান। তবে উনি যে কাজটি ভালো করেছেন, যেহেতু তিনি জানেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে, উনি বাড়িতেই নিজেকে আইসোলেটেড অবস্থায় রেখেছিলেন। বাড়িতে কারো সঙ্গে কথা বলেননি বা কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেননি। হঠাৎ করে তাঁর একটু শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বিধায় উনি হাসপাতালে এসেছেন।’