টাঙ্গাইলে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায়ে মো. শাহাদাৎ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া শাহাদাৎ হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ জানান, ২০০২ সালে শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের আউলটিয়া গ্রামের জাহারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন থেকে চার মাস পর ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন শাহাদাৎ। কিন্তু, জাহারার পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শাহাদাৎ তাঁকে নির্যাতন করতে থাকেন।
এর মধ্যে ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শাহাদাৎ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাঁদের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান বাড়ির লোকজন। কিন্তু, ভেতরে কাওকে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। পরে বাড়ির দক্ষিণ পাশের মেহেগনি বাগানের কাছে একটি পুকুরে জাহারা খাতুনের লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
পরে জাহারা খাতুনের ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিচারকাজ চলাকালে চিকিৎসকসহ মোট নয় জন সাক্ষ্য দেন। পরে মামলার আসামি শাহাদাৎ হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী।