ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়ক হবে বিশ্বমানের : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়ক নির্মাণ করছে। সড়কটি আধুনিক ও বিশ্বমানের হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এই ছয় লেন সড়কের ১৭ কিলোমিটার ফ্লাইওভারসহ মধ্যখানে ডিভাইডার থাকবে। সড়কের পাশাপাশি ডাবল রেললাইন স্থাপন করা হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলি নদীতে সুরঙ্গ পথের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।’
আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত প্রেসক্লাব চত্বরে কোদালীছড়ার উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলে মন্ত্রী।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমানে সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহীদ আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমানসহ অন্যরা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এরা মনে প্রাণে বাংলাদেশের ভালো চায় না। তাদের কারণে ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দিতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। এখন জ্বালাও পোড়াওয়ের দিন শেষ, উন্নয়নের বাংলাদেশ। সেতু-কালভাটের উন্নয়ন করলে হবে না। শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকার স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নয়। গায়ের জোরে কিছু করা যায় না। গায়ের জোরে কাজ করে স্বৈরশাসক। এই সরকার আপনাদের সরকার।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকা করেছে, ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে চাল ও ঋণ সুবিধা দিয়েছে। দরিদ্রের ম্যাপ আছে, বিদ্যুতের ম্যাপ আছে, স্কুলের ম্যাপ আছে। প্রত্যেক জেলায় পর্যায়ক্রমে যারা পিছিয়ে আছে তাদের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোনো প্রকল্প নিলে সাধারণ মানুষের উপকার হয় কিনা সেটি প্রধানমন্ত্রীকে বুঝাতে হয়।’
‘বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা উঁচু, সেগুলোতে পানির একটু সমস্যা হয়। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই। আমাদের কাছে মনে হয় সব সমস্যা এক দিনেই সমাধান করে দেই। কাজ শেষ করার অপেক্ষা করতে হবে। আগামী পাঁচ বছর কী কাজ হবে সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা ব্যতীত কোনো কাজ হয় না।’ যোগ করেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কোদালীছড়ার মোট দৈর্ঘ্য পাহাড় বর্ষিজুড়া থেকে হাইল হাওর পর্যন্ত ২১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকায় কুদালীছড়ার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার। এবং বর্তমানে কুদালীছড়ার উভয় পার্শ্বে টেন্ডারকৃত দৈর্ঘ্য (চেইনেজ ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার- ৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার) ২ দশমিক ৬০ কিলোমিটার। মোট পাঁচটি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪ কোটি, ৯৫ লাখ, ৮৯ হাজার, ৭২৯ টাকা।
পরে মন্ত্রী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন এবং প্রেসক্লাবের কমপ্লেক্স নির্মাণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এর আগে মন্ত্রী মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।