তরুণীর লাশের ওপর ছুরি হাতে যুবকের লাশ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে এক তরুণী ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তরুণীর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তরুণীর লাশের ওপর ছুরি হাতে ওই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পেটেও রয়েছে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। পুলিশ ধারণা করছে, তরুণীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন যুবক। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ ওই যুবকের বাড়ি থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন—কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত সমর গোমেজের ছেলে হৃদয় গোমেজ (২৫) এবং একই উপজেলার বান্দাখোলা গ্রামের স্বপন রোজারিওর মেয়ে ইভানা রোজারিও (২২)। এর মধ্যে হৃদয় ব্র্যাকে চাকরি করতেন এবং ইভানা নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কাওসার আলম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে হৃদয় ও ইভানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গতকাল বুধবার সকালে হৃদয়কে বাড়িতে রেখে তাঁর মা ও চাচা জমির দলিল করতে কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সন্ধ্যায় তাঁরা বাড়ি ফেরেন।
এ সময় হৃদয়ের মা ভেতর থেকে ঘরের দরজা-জানালা আটকানো অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করেও তিনি কোনো সাড়া-শব্দ পাননি। তবে ঘরের ভেতরে উচ্চশব্দে মিউজিক বাজছিল। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা উঁকি দিয়ে ঘরের ভেতরে ইভানা ও হৃদয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দুটি উদ্ধার করে। ওই সময় ইভানার লাশের ওপর ছুরি হাতে হৃদয়ের লাশ পড়ে ছিল। নিহত ইভানার গলা, ঘাড় ও গালে এবং হৃদয়ের পেটে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রেমিকা ইভানাকে ঘরে ডেকে তাঁকে গলাকেটে ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন হৃদয়। পরে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ সময় নিজেদের আর্ত-চিৎকারের শব্দ বাইরের লোকজন যাতে শুনতে না পায়, সেজন্য ঘরের দরজা-জানালা আটকে উচ্চশব্দে মিউজিক ছেড়ে দেন হৃদয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।