দুদকের এমন বিধি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি
দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি সরাসরি আদালতে অভিযোগ করতে পারবেন না, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এমন বিধি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জানা যায়, দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে ২০১৯ সালের ২০ জুন এ বিষয়ে গেজেট জারি করে। পরে একই বছরের ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এবং ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়াল রিট আবেদন করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর থানার পরিবর্তে দুদক কার্যালয়ে এজাহার দায়ের করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রিটে আবেদনকারীরা একই বিধিমালার ১৩ (৩) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি সম্পূরক আবেদন করেন।
ওই বিধিতে বলা হয়, আইনের তফসিলভুক্ত কোনো অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সরাসরি কোনো আদালতে দায়ের করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আইনের তফসিলভুক্ত কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং ওই অপরাধ সংঘটন বিষয়ে এর আগে অভিযোগকারীর দাখিল করা অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন তদন্ত কার্যক্রমে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত ছিল না, সেক্ষেত্রে ওই আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কমিশনকে নির্দেশসহ অভিযোগটি এবং অভিযোগের সমর্থনে দাখিল করা কাগজপত্র যদি থাকে কমিশনে বা ক্ষেত্রমত কমিশনের সংশ্লিষ্ট জেলা কার্যালয়ে পাঠাবেন।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, নাগরিকরা কোথায় মামলা করবেন সেটা আইনে আছে। কিন্তু বিধি করে দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধে আদালতে অভিযোগ করতে পারবেন না কোনো ব্যক্তি- এটা দুর্নীতি দমন কমিশন করতে পারে না। আর অভিযোগ করলেও আদালত কী করবে সেটাও বিধিতে বলে দিচ্ছে। এটাও দুদক পারে না। কারণ আদালত আইনমত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উচ্চ আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। এখন এই দুই রুলের শুনানি একসঙ্গে হবে।