দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট চলছে
উত্তেজনা ও শঙ্কার মধ্যে সারা দেশে দ্বিতীয় ধাপের ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
এ ধাপের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় বাধ্য হয়ে ১০ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মতে, এবারের ইউপি নির্বাচনে ইসির কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচন কমিশন অনেকটা অসহায়।
ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলেও আজ ভোটগ্রহণ হবে ৮৩৫ ইউপিতে। কেননা পাঁচ ইউপিতে সব পদে জনপ্রতিনিধিরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাত ইউপিতে ভোট স্থগিত করেছে ইসি এবং একটি ইউপির ভোট বাতিল করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটকেন্দ্র হচ্ছে আট হাজার ৪৯২টি। মোট ভোটার হচ্ছে এক কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে এ ধাপে ১৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
ইসি সূত্র বলছে, ৮৩৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন তিন হাজার ৩১০ জন, সংরক্ষিত নারী প্রার্থী নয় হাজার ১৬১ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন। এ নির্বাচনে মোট ৪১ হাজার ২১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোট হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে বুধবার সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
ইকরাম চৌধুরী টিপু, কক্সবাজার : কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলার ২১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। তবে, বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রায় সব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী দিলেও বেশ কিছু ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছেন অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে নৌকার বিজয়ের পথে কাঁটা হতে পারেন তাঁরা। সব মিলিয়ে জেলার ২১ ইউপিতে ভোটের হিসাব পাল্টে দিতে পারে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংঝা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী টিপু সুলতান (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এম রাশেদুল করিম (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিউদ্দিন পাটোয়ারী (হাতপাখা), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবুল কাসেম (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ রায়হান (আনারস), শফিকুল ইসলাম (চশমা)।
খুরুশকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহান ছিদ্দিকী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুর রহিম (আনারস), মো. নুরুল আমিন (মোটরসাইকেল)।
পিএমখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল মোস্তফা (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুর রহিম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমদ (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (আনারস), মো. শহিদুল্লাহ (ঘোড়া), মো. সৈয়দ নুর (রজনীগন্ধা)।
ভারুয়াখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামাল উদ্দিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক (মোটরসাইকেল), মস্উদ ইকবাল (আনারস), মোস্তাফিজুর রহমান (চশমা), রবিউল হাসান (টেবিল ফ্যান), শফিকুর রহমান সিকদার (ঘোড়া)।
চৌফলদন্ডী ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক (আনারস), মোহাম্মদ নুরুচ্ছবিহ (ঘোড়া), মোহাম্মদ শাহজাহান (মোটরসাইকেল) ও হাসান মুরাদ আনাচ (চশমা) নির্বাচন করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহাদত হোসেন জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে স্ব স্ব ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উখিয়ার পাঁচ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পাঁচ ইউপিতে এক লাখ ৩০ হাজার ৬১৩ জন ভোটার রয়েছেন।
ভোটারেরা বলছেন, এবার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলদিয়াপালং ইউপিতে নৌকা প্রতীকের শাহ আলমের সঙ্গে যুবলীগ নেতা ঘোড়া প্রতীকের ইমরুল কায়েস চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক আমিন ও গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আলোচনায় রয়েছেন।
জালিয়াপালং ইউপিতে নৌকা প্রতীকের এস এম ছৈয়দ আলমের (সাবেক চেয়ারম্যান) সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান চশমা প্রতীকের নুরুল আমিন চৌধুরীর তুমুল লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। তবে, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেন।
রত্নাপালং ইউপিতে নৌকা প্রতীকের নুরুল হুদার সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল কবির চৌধুরীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করছেন ভোটারেরা।
রাজাপালং ইউপিতে নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর ভাতিজা ঘোড়া প্রতীকের সাদমান জামী চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পালংখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দুইবারের চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের অ্যাডভোকেট এম এ মালেকের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, নৌকা প্রতীকের এম এ মনজুরও রয়েছেন আলোচনায়। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন জুয়েল (আনারস) কিংবা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলী আহমদের জনপ্রিয়তাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভোটারেরা।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, উখিয়ার পাঁচ ইউপিতে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবিসহ বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে নেমেছে।
রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল হক চৌধুরী নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল, সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চাকমারকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম সিকদার নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক মোটরসাইকেল, আবদুর রহিম রজনীগন্ধা, নুরুল আলম আনারস, ফজলুল ইসলাম টেবিল ফ্যান, মো. আলমগীর টেলিফোন, মো. আবদুল মজিদ ঘোড়া, সাইফুল ইসলাম চশমা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
জোয়ারিয়ানালা ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল শামসুদ্দীন প্রিন্স, স্বতন্ত্র প্রাথী আনছারুল আলম চশমা, আবছার কামাল সিকদার মোটরসাইকেল, এম এম নুরুচ্ছফা ঘোড়া, গোলাম কবির অটোরিকশা, রাশেদুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুনিয়াপালং ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মাবুদ নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কবির আহমদ হাতপাখা, স্বতন্ত্র আবদুল হক চশমা, কামাল উদ্দিন টেলিফোন, দেলোয়ার হোসেন অটোরিকশা, মো. হাবিবুর রহমান আনারস, রহিম উল্লাহ মোটরসাইকেল, হোসাইন আহমেদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোদেশতা বেগম রীনা নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. শফীউল্লাহ হাতপাখা, স্বতন্ত্র ইয়াসিন মনির সোহাগ আনারস, ইয়াকুব চশমা, মো. ওমর ফারুক মোটরসাইকেল, মো. সাইফুল আলম ঘোড়া, মো. ইউনুস ভূট্টো টেবিল ফ্যান, মো. সাইফুল ইসলাম টেলিফোন, সাদ আল আলম চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন।
রশিদনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জম মোরশেদ নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হান্নান চৌধুরী মোটরসাইকেল, এমডি শাহ আলম আনারস প্রতীক নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন।
কাউয়ারখোপ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওসমান সরওয়ার মামুন নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জহির উদ্দিন আনারস, নুরুল হক টেবিল ফ্যান, মোজাফফর আহমদ অটোরিকশা, মোস্তাক আহমদ ঘোড়া, শামসুল আলম মোটরসাইকেল, সাইমুন ইসলাম চশমা প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন।
রাজারকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরওয়ার কামাল নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের তাজুল ইসলাম হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফিজুর রহমান ঘোড়া, সাহেদুল্লাহ আনসারি আনারস, ঈদগড় ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল আলম নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওসমান সরওয়ার হাতপাখা, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আজিম মোটরসাইকেল, ফিরোজ আহমদ ভূট্টো আনারস নিয়ে লড়ছেন।
রামুর গর্জনিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম টেবিল ফ্যান, আজিজ মওলা আনারস, গোলাম মওলা চশমা, গোলাম মৌলা চৌধুরী মোটরসাইকেল, মো. মুহিবুল্লাহ রজনীগন্ধা, মো. শফীউল আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
রামুর কচ্ছপিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল আমিন নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু ইসমাইল মো. নোমান আনারস, মো. শফীউল আকবর ঘোড়া, মো. আবু তালেব রজনীগন্ধা, মো. তৈয়ব উল্লাহ চশমা, জয়নাল আবেদিন মোটরসাইকেল, শাহেনা আক্তার টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
শ. ম সাজু, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ১৫টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। তবে, ভোটগ্রহণ শুরুর পর এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী উপজেলার নয়টি ইপিতে মোট ভোটার দুই লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন। এ নয় ইউপিতে ৩২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, তানোরের ছয়টি ইউপিতে মোট ভোটার এক লাখ ৭৬ হাজার ৮২৯ জন। সেখানে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৫ জন। এ ছাড়া দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মামলার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচনের একদিন আগে সরনজাই ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
গোদাগাড়ীর ৯৫টি এবং তানোরের ৬৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৩৫টি ও তানোরে ৪৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নাফিজ আশরাফ, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ১৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। পাঁচটি ইউপিতে নৌকার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
এগারোটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৬ ইউপিতে প্রায় সাত লাখ ভোটার রয়েছেন। আর, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন ৮৪৪ জন। এর মধ্যে নির্বাচিত হবেন ২০৮ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৭৬টি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় প্রতি কেন্দ্রে ২২ জন পুলিশ ও আনসার ছাড়াও র্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।
শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদরের আটটি ও রায়গঞ্জ উপজেলার নয়টি মিলে মোট ১৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এ দুই উপজেলার তিনটি করে মোট ছয়টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হওয়ায় শুধু সদস্য ও নারী সদস্য পদে ভোট হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুই উপজেলায় ১২জন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পাঁচ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যেরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদরের আটটি ইউপিতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৬০টি। ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৫৫ জন। আর রায়গঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউপিতে কেন্দ্র সংখ্যা ১১২টি। এ ছাড়া ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ৫৮৭ জন।
সদরের পাঁচটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৫ জন। আর রায়গঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়েছেন ২২ জন প্রার্থী।
এ ছাড়া সদরের আটটি ইউপিতে সদস্য পদে ২৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ৩৪১ জন এবং নারী সদস্য পদে ১৭ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর ১০৬ জন ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। আর রায়গঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউপিতে সদস্য পদে ৩৬২ জন এবং নারী সদস্য পদে ১০৫ জন ভোটের মাঠে রয়েছেন।
নাসির আহমেদ, গাজীপুর : গাজীপুরের কাপাসিয়ার ১১টি ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে ৭৭টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার সদস্যেরা দায়িত্ব পালন করছেন।