ধর্মান্ধরা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পদ্মা সেতুর মতো বড় স্থাপনার কাজ প্রায় সমাপ্ত। আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত থেকে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তখন ধর্মান্ধরা আমাদের দেশকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ভেতরে যেসব মানুষ অবরুদ্ধ ছিলেন, তাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অনুপ্রেরণা দিয়েছে। মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র না থাকলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয়গুলো জনগণ এবং বিশ্ববাসী জানতে পারত না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একটি সেক্টর যা করতে পেরেছে অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার চেয়ে বেশি করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেছেন তারা সশস্ত্র অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেননি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক রেজাউল করিম চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম যাচাই-বাছাই না করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, শুধু তাদের বিষয়েই যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। তাদের কাউকেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে প্রচুর ভুল-ভ্রান্তি পেয়েছি। আমরা ভারতীয় তালিকা ও লাল মুক্তি বার্তায় নামের তালিকা সামনে রেখে এ যাচাই-বাছাই করছি। তিনি বলেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। যার জন্য সবার সব তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। করোনাকালে আমরা দেখেছি, একজনের টাকা আরেকজনের পকেটে গেছে। এ ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালের পর অনেক অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করা হবে।