ধামরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুজন নিহত
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী পৃথক দুই সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুল্লা গ্রামে এবং গতকাল শুক্রবার সূয়াপুর ইউনিয়নের কুরঙ্গীচর গ্রামে এ দুই ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন নাছির উদ্দীন মোল্লা ও রাতুল। এর মধ্যে নাছির উদ্দীন মোল্লা সূয়াপুর ইউনিয়নের কুরুঙ্গীচর গ্রামের বাসিন্দা এবং রাতুল কুল্লা ইউনিয়নের বরাকৈর গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হাজী আব্দুর রশিদের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ের ১৫টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, বৃহস্পতিবার কুল্লা ইউপির কুল্লা গ্রামে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোলায়মানের সমর্থক রাতুল ও তাঁর সঙ্গী অর্ণবকে নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন স্থানীয় একটি খামারবাড়িতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে পাশের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় রাতুলের। অন্যদিকে, সংকটাপন্ন অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ণব।
এ ছাড়া সূয়াপুর ইউপির নির্বাচনের জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাতে এলাকার মোরগ প্রতীকের সদস্য প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থক নাছির উদ্দিন মোল্লা।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, এ পৃথক দুই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।