নওগাঁয় নির্বাচনি সহিংসতায় বিএনপি কর্মী নিহতের মামলায় আসামি দুই শতাধিক
নওগাঁর মান্দায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থীর কর্মী এমরান হোসেন রানা (৩৫) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। নিহতের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মান্দা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারে ১০৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর কর্মী এমরান হোসেন রানা নিহতের ঘটনায় তাঁর মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘এজাহার ভুক্তসহ অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সতিহাট এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।’
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সতিহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নৌকার প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এমরান হোসেন রানা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান। মারা যাওয়ার একদিন পর এ মামলা হলেও আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মান্দা থানা পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে নওগাঁর মান্দা ও বদলগাছী উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মান্দা উপজেলার সদর ও বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে এবং বাকি ২০টি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।