নবীগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে টেকাদিঘি অটো রাইস অ্যান্ড বয়লার মিলে বিস্ফোরণে নাছির মিয়া (৩৬) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো ছয়জন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোড টেকাদিঘির মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাছির নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভূমিরবাক গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। আহতরা হলেন বয়লার শ্রমিক আবদুল কাদির (৩৯), নিতাই দাশ (৪০), বয়লার ম্যানেজার মিলন দাশ (৪৬), সফিকুর রহমান (৩৫) শ্রীকান্ত দাশ (৪০) ও বয়লারের পাশের বাসার রীনা দাশ (৪০)।
বিকট শব্দে আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। প্রথমে ভূমিকম্প ভাবলেও পরে বিস্ফোরণের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ফায়ারম্যান নাছির মিয়াসহ শ্রমিকরা ধান সেদ্ধ দেওয়ার কাজ করছিলেন। হঠাৎ কাজের শেষ দিকে বিকট আওয়াজ করে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই ফায়ারম্যান নাছির মিয়া নিহত হন। এ সময় এক বয়লার ম্যানেজার ও এক প্রতিবেশীসহ আহত হন আরো ছয়জন।
বিস্ফোরণে আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আবদুল কাদির নামের একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে চুলার চিমনি উড়ে গিয়ে প্রায় ৫০০ গজ দূরে গিয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে বয়লার পাশে একটি মসজিদ, আলী ভিলা, আনসার-ভিডিপি ব্যাংক ও আল-হেরা বইঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো শহর।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফজল মিয়ার নেতৃত্বে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত কুমার পাল, পৌরসভার মেয়র আলহাজ ছাবির আহমদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ মিলুসহ রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।