নরসিংদীতে আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধ
নরসিংদীর মাধবদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাধবদীর পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বালাপুর গ্রামের নূরুল বক্সের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), পাইকারচর গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৪০), মৃত মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে জুলহাস মিয়া (৫৫), মৃত আমির আলীর ছেলে হোসেন মিয়া (৩০), পাঁচআলী পাড়ার জমির আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩১), নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল (১৫) ও শহিদুল্লাহর ছেলে মোমেন (৩২)। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হোসেন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেমের সমর্থক রাসেলকে মারধর করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের সমর্থক সোহাগ। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বালাপুর স্কুলের সামনে দুপক্ষ দেশি অস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হোসেন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাইকারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, ‘শওকতের লোকেরা সোমবার আমার সমর্থককে মারধর করেছে। তারা মঙ্গলবার প্রথমে আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হামলা চালিয়ে অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাইকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে আমার বাড়িতে ও কারখানায় হামলা চালিয়েছে। এ সময় তাদের টেঁটায় আমার সমর্থক আনোয়ার ও রাসেল বিদ্ধ হয়েছে। আর ইউনিয়ন পরিষদে আমি কোনো হামলা চালাইনি। এসব চেয়ারম্যান নিজেই করে আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে।’
মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আর এ ব্যাপারে এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ দায়ের করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’