নরসিংদীতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, গভীর রাতে আসামি গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি আলামিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে আলামিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস আক্তার। তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে আজ সোমবার সকালে নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার ক্ষতস্থানে চারটি সেলাই লেগেছে। সব মিলিয়ে তার অবস্থা গুরুতর।’
পুলিশ ও নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা শিশুটি স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের রাজাদী গ্রামের কালীর বাজার এলাকায় পৌঁছলে শিশুটির গতিরোধ করে পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের কলা বেপারী আলামিন নামের এক বখাটে। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে পাশের একটি কলাক্ষেতে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে নিয়ে গামছা দিয়ে শিশুটির মুখ বেধে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এরই মধ্যে শিশুটির সহপাঠীরা তার বাড়িতে খবর দেয়। এর পর পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বহু খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির অদূরে পাশের একটি কলাক্ষেতে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।