নরসিংদীতে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
নরসিংদীর চরাঞ্চলের আলীপুরা গ্রামে শহরবানু নামে এক বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলীপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহরবানু (৭০) আলীপুরা মধ্যপাড়ার সরকারবাড়ীর সারোয়ারদীর স্ত্রী।
পুলিশ বলছে, টেঁটাযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আলীপুরায় দুইটি পক্ষ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যায় রূপ দিতে চাচ্ছেন কিনা, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলীপুরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মনা ও কামাল মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ১২ দিন আগে দুইপক্ষের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ ও সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মনা পলাতক। পরে পুলিশ আলীপুরা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক টেঁটা উদ্ধার করে এবং ১৩ জনকে আটক করে।
এরই মধ্যে আগের সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধানে আজ শুক্রবার বিকেলে আলীপুরা গ্রামে তদন্তে যায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশ শহরবানুর সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ চলে আসার পর সন্ধ্যার দিকে স্টোকজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পল্লী চিকিৎসক নজরুল এর কাছে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে নিহতের স্বজনরা তাঁকে গলা কাটা অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহাম্মেদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমানসহ পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহাম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রামের লোকজন বলেছে স্টোক করে মারা গেছে। মৃত্যুর পর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নজরুলের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতও করেছিলেন। তখন নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় তাঁর গলা কাটা। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশদ তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’