নরসিংদীতে রোগীর বাড়ি যাবে চিকিৎসক
‘রোগীকে ডাক্তারদের কাছে যেতে হবে না, ডাক্তার রোগীর কাছে যাবে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নরসিংদীতে ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীর পর এবার পুলিশের হটলাইনে ফোন দিলে স্বাস্থ্যসেবা দিতে রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে চিকিৎসক। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ক্যাম্প থেকে চিকিৎসকরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেবে।
আজ রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) উদ্যোগে পৌর শহরের ইউএমসি জুট মিল ও ব্রাহ্মন্দী এলাকায় পুলিশ ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে শতাধিক মানুষকে ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদী জেলা পুলিশের পরিদর্শক রূপন কুমার সরকার জানান, নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), নরসিংদী শাখার সমন্বয়ে নরসিংদী জেলায় ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসা টিম গঠন করা হয়েছে।
রূপন কুমার সরকার বলেন, ‘নরসিংদী জেলায় লকডাউন চলছে। জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশপথ বন্ধ। সেহেতু অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। মানুষের স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে যেন অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুজন চিকিৎসক, দুজন এমআইয়ের তত্ত্বাবধানে গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। এজন্য আমাদের দুটি অ্যাম্বুলেন্স, এমআই (পুলিশের মেডিকেল ইনস্ট্রাক্টর), ফ্রি ওষুধ সামগ্রী নিয়ে এই টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিদিন এই টিমগুলো কাজ করবে। এছাড়া হটলাইন নম্বরে যে কেউ ফোন করে টেলিফোনে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। প্রয়োজনে মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।’
ফ্রি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, স্বাচিপের নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হক কমল, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক অপু, সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং পরিধি আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান রূপন কুমার সরকার।