নরসিংদীর রাস্তাঘাট ফাঁকা, শহরে বেড়েছে পুলিশি টহল
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে নরসিংদী জেলাকে লকডাউন (অবদ্ধরুদ্ধ) ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, নরসিংদী জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া জেলা,উপজেলার অন্য সব রাস্তা ও সীমানা দিয়ে ভিন্ন জেলায় যাতায়াতে প্রবেশ ও প্রস্থানের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় সবধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন, দিনরাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা, খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ ও চিকিৎসা আওতাবহির্ভূত থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে লকডাউনকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। ফাঁকা হয়ে গেছে পৌর শহর ও এর অলিগলি। ফাঁকা হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। তবে বাজারঘাটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে মানুষজনকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। তবে উল্টো চিত্র নরসিংদীর চরাঞ্চলগুলোতে। সেখানে সাধারণ মানুষ লকডাউন মানছেন না। সেখানে এখনো অনেক লোকজনকে চা স্টলসহ বিভিন্ন স্থানে একত্রে বসে আড্ডা দিতে দেখা দিয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস বলেন,কোভিড-১৯ ঝুঁকি মোকাবিলা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে নরসিংদী জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ নরসিংদীতে যে দুজন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। সে কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মালি জুয়েল মিয়ার করোনায় আক্রান্তের পর চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি মালি পদায়নে থাকলেও তিনি সব সময় টিকেট বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকতেন। তাছাড়া একজন চিকিৎসকের অ্যাটেনডেসও তিনি ছিলেন। তাই তাঁর আক্রান্তের পর হাসপাতালের চিকিৎকরাও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। মালিকে আইসোলেশনে নেওয়া হলেও তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়নি।