নির্মল সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাংবাদিক, কলামিস্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ৮৩ বছর বয়সে ২০১৩ সালের আজকের দিনে না ফেরার দেশে যান তিনি। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নির্মল সেন স্মৃতি সংসদ স্মরণসভার আয়োজন করেছে। আজ শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত , মা লাবণ্য প্রভা সেন গুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন পঞ্চম।
দেশ বিভক্তির পর নির্মল সেনের পরিবারের সবাই কলকাতা চলে গেলেও মাটির টানে এদেশে থেকে যান তিনি। লালিতপালিত হন ঝালকাঠিতে পিসির কাছে।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে নির্মল সেন ঝালকাঠির কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে ১৯৪৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএসসি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্কুলজীবন থেকেই ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। কলেজ জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে তিনি আরএসপিতে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির কারণে জীবনের অনেকটা সময় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।
১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্যে দিয়ে নির্মল সেন তার সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেন। পরে দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রযেছে। তার লেখা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জীবনে ৭১ এর যুদ্ধ, আমার জবানবন্দি উল্লেখযোগ্য।