নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
কালবৈশাখী ঝড়ে নীলফামারীতে বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ি আর উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। শুক্রবার রাত একটার দিকে দশ মিনিটেরও বেশি ঝড়ো বাতাসে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয়েছে উঠতি বোরো আবাদেরও।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালিপাড়া গ্রামের কৃষক অতুল রায় জানান, মধ্যরাতের এই ঝড়ো হাওয়ায় এলাকার ধানক্ষেত বসে গেছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা এবং ভেঙে পড়েছে ঘর বাড়ি।
ডোমার শহরের আসাদুজ্জামান হিল্লোল বলেন, বাতাসের দ্রুতগতির কারণে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথাও ঘর উড়ে গেছে আবার কোথাও টিনের চালা সরে গেছে। বিশেষ করে কাঁচা ও টিনের বেড়ার বাড়িগুলো কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুন্দপুকুর ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম জানান, দশ মিনিটের ঝড়ে এলাকার চারটি বাড়ি ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়ে অন্যত্র সরে গেছে।
নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন, মধ্যরাত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। কারণ মানুষ সে সময়ে ঘুমিয়ে ছিল। আমার প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে এবং প্রধান ফটকের উপরের অংশ ভেঙে গেছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়াও কৃষিক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ রকম তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।