নীলফামারীতে পাম্পে পেট্রোল সংকট, ফিরে যাচ্ছে মানুষ
নীলফামারীতে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন সংকটের কারণে জ্বালানি না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। সরেজমিনে আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গত এক মাস ধরে এমন অবস্থা চলছে বলে জানিয়েছেন তেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। তবে, কবে নাগাদ এ সমস্যা সমাধান হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
শহরের বনবিভাগ এলাকায় রশিদা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পেট্রোল ও অকটেন না থাকায় মোটরসাইকেল চালকদের ফিরে যেতে হচ্ছে। পাম্পের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে তেল না থাকার নোটিশ।
তেল নিতে আসা শহরের বড়বাজার এলাকার হৃদয় হোসেন বলেন, ‘আমি তেল নেওয়ার জন্য সকাল থেকে তিনটি পাম্পে গিয়েছি, কিন্তু পাইনি। বলা হচ্ছে, পেট্রোল নেই। এমনকি অকটেনও পাওয়া যাচ্ছে না।
সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের টেপুরডাঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কয়েক দিন তেল নিতে গিয়ে ঘুরে গেছি। গ্রামের অনেক মানুষ মোটরসাইকেলের জন্য তেল নেন। তবে, কবে নাগাদ তেল পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পাম্প কর্তৃপক্ষ।’
রশিদা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল্লাহ জানান, গত এক মাস থেকে পেট্রোল সংকম চরমে পৌঁছেছে। মানুষকে দিতে পারছি না। ঈদের কিছু দিন আগে ১৪ হাজার লিটার অকটেন এসেছিল, সেগুলো দিয়ে কোনো রকমে চালাতে হচ্ছে।’
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিন এ পাম্পে দেড় হাজার লিটার পেট্রোল ও ৬০০ লিটার অকটেন প্রয়োজন। কিন্তু, সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছুদিন থেকে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে, যার কারণে তেল না থাকায় পাম্পের গায়ে তেল নেই লিখে দিতে হয়েছে।’
জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান স্বপন জানান, তিন মাস থেকে পেট্রোল সংকট দেখা দিয়েছে। পার্বতীপুর ডিপোতে না পেয়ে বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে তেল নিয়ে পাম্পগুলো চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু, মাসখানেক ধরে পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে, দ্রুত সমস্যা নিরসন হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আখতারুজ্জামান স্বপন বলেন, ‘জেলার ৩৬টি তেল পাম্পে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ২৫ হাজার লিটার অকটেন প্রয়োজন। কিন্তু, বেশিরভাগ পাম্পে এখন অকটেনও নেই।’
যমুনা অয়েল লিমিটেড পার্বতীপুর ডিপোর ইনচার্জ মো. আহসান বলেন, ‘আমরা খুলনা থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে পেট্রোল নিয়ে আসি। এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, গত মার্চ থেকে তেলের স্বাভাবিকতায় ব্যাঘাত ঘটে।’
আহসান বলেন, ‘পেট্রোল সংকটের কারণে অকটেনের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে, কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’