খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে শ্যামলী পরিবহনের একটি নৈশকোচে কয়েকজন নারী পর্যটক যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এ অভিযোগে ওই বাসের সুপারভাইজার মামুনুর ইসলাম মামুনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত সুপারভাইজার মামুনুর ইসলাম মামুনের বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সাভার গ্রামে।

পুলিশ জানায়, সাজেক ভ্রমণ শেষে ৩৪ জন নারী পর্যটক গতকাল রাত ৯টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি নৈশকোচে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা সবাই ঢাকার একটি ভ্রমণ সংগঠনের সদস্য। বাসটি রাত ১১টার দিকে রামগড়ে পৌঁছালে সুপারভাইজার মামুন ঘুমন্ত এক নারী পর্যটকের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এ সময় ওই যাত্রী সুপারভাইজারের হাত চেপে ধরে চিৎকার দেন এবং লাইট অন করতে বলেন।

পরে ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে কল করলে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সুপারভাইজার মামুনকে আটক করে।

ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘ভিকটিম একজন ব্যারিস্টার। আটক সুপারভাইজার ওই পর্যটকদলের আরো চার থেকে পাঁচ নারীকে একইভাবে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। গতকাল রাতেই নিপীড়নের শিকার ওই ব্যারিস্টার বাদী হয়ে রামগড় থানায় নারী ও শিশু  নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।’

আজ রোববার সকালে মামুনকে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।