পটুয়াখালীতে নৌপুলিশের নির্যাতনে জেলের মৃত্যুর অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের নির্যাতনে সুজন চৌকিদার (৩০) নামের এক জেলের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চর বালিয়াতলীর ডোশ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় জনতা লালুয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মামুনসহ চার সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় নৌপুলিশের দুই সদস্য, তাদের বহনকারী ট্রলারের মাঝিসহ তিনজন আহত হন। পুলিশের দাবি, সুজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সুজন ওই এলাকার আ. সত্তার হাওলাদারের ছেলে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইউএনও ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চার আটককৃতদের ছেড়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।
কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ জানান, খবর পেয়ে বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে অবরুদ্ধ এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলে মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।
সুজনের সঙ্গে থাকা জেলেরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরবালিয়াতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রথম বয়ার কাছে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার সময় লালুয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ট্রলারটি তাদের ধাওয়া করে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে-এমন অভিযোগে তাদের ধাওয়া করে ডোশের খালের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা অপর চার জেলে পালিয়ে গেলেও সুজন ট্রলারেই থেকে যান। নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মামুনসহ চার পুলিশ সদস্য ওই ট্রলারে ওঠে সুজনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। দুপুর ২টার দিকে ট্রলারটি সাগর থেকে গঙ্গামতি তীরে পৌঁছায়। স্থানীয় জেলেরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।