পদ্মা সেতুতে বসল ৩০তম স্প্যান, দৃশ্যমান সাড়ে ৪ কিলোমিটার
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ২৯তম স্প্যান বসানোর ২৬ দিনের মাথায় বসানো হলো পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান। সারা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে থমকে আছে তখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর ৩০তম স্প্যান বসানো হলো।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্প্যানটি বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর চার হাজার ৫০০ মিটার। এর আগে গত ৪ মে মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছিল ২৯তম স্প্যানটি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর জানান, গতকাল শুক্রবার তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি বহন করে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্প্যানটি খুঁটির ওপর ওঠানোর কাজ শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর ওঠানোর কাজ সমাপ্ত করেন পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য আরো পাঁচটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে দুটিতে রং করার কাজ চলছে। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। কাজের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী (আগামী বছর জুন মাসে) সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।