পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবের জনসভায় ১০ লক্ষাধিক জনসমাগমের আশা
মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসব। আর এ উৎসবকে ঘিরে জনসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনের সমসভাস্থল পরিদর্শন করে। সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি স্পিডবোটে করে বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করে।
পরিদর্শন শেষে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। এর ফলে দুটি নৌবন্দর মোংলা ও পায়রা, স্থলবন্দর বেনাপোলে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হওয়ায় চিন্তাই করা যাবে না যে, কী ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে! পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। এর জনসভাও হবে ঐতিহাসিক।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মার পাড়ে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখও মানুষের অংশগ্রহণে জনসভা এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। উৎসবের এ সভায় জাতির উদ্দেশে, বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে উন্নয়ন অগ্রগতির মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। এ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ঐতিহাসিক জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। জনসভার পর ফানুস ওড়ানো থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জমকালো অনুষ্ঠানসূচি আয়োজন করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্ব স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাদের নেতা চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর। এ ছাড়া সহযোগিতা করবেন মীর্জা আজম এমপি।’
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং ’৭৫-এর ঘাতকদের মতো খুন-সন্ত্রাস করতে চায়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করবে।’
প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন—পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ। এ সময় এসএসএফ, জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।