পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন, ২০০ টাকা ফি দিয়ে বিচার চাওয়া যাবে
‘পারিবারিক আদালত আইন’ নামে নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন এ আইন কার্যকর হলে পারিবারিক আদালতে দেশের যে কোনো নাগরিক মাত্র ২০০ টাকা ফি জমা দিয়ে প্রতিকারের জন্য বিচার চাইতে পারবেন।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও দেশে পারিবারিক আদালত কাঠামো ছিল। তবে এটি ১৯৮৫ সালের সামরিক সরকারের করা একটি অধ্যাদেশ দিয়ে পরিচালিত হতো। এখন এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে রূপ দেওয়া হচ্ছে।
সচিব বলেন, ১৯৮৫ সালের ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্সে দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিল। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৮ ধারা অনুযাযী নিষ্পত্তি করা হতো। নতুন খসড়ায় ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।
সচিব বলেন, আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’
তিনি বলেন, অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে আগে ফি ছিল ৫০ টাকা। এখন এটিকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখনও এটি অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে, সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।