পিরোজপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজনকে কুপিয়ে জখম
পিরোজপুর সদর উপজেলায় আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নারকেলবাড়ি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তিরা হলেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মো. আলী আব্বাস (৫২), একই ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামের মো. টুটুল (৪২) ও রাসেল মাঝি (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে নারকেলবাড়ি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর আনারস প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় রাব্বি (২২) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা উঠান বৈঠকের দাওয়াত দিতে সমর্থকদের নিয়ে বের হয়েছি। হঠাৎ করেই আনারস প্রতীকের প্রার্থী নোমান মৃধার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় আমার তিন সমর্থক আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান জেরিন জানান, তিনজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা বা বরিশালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ওই বাড়ির মালিক প্রত্যক্ষদর্শী গণেশ হালদার জানান, নির্বাচনী প্রচারকালে এক গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দিলে তারা আমার ঘরে ডুকে দরজা আটকে আশ্রয় নেয়। এ সময় অন্য গ্রুপের লোকজন ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে তাদের মারধর করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ও মালামাল ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে জানতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. নোমান মৃধার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তিনি বা তার কোনো লোকজন ওই হামলা সঙ্গে জড়িত নয়। ওই হামলা করেছে নৌকা প্রতীকের লোকজন। নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার সঙ্গে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে হয়রানির চেষ্টা চলছে।
সদর থানার ওসি আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে রাব্বি নামের একজনকে আটক করেছে। এলাকায় অভিযান চলছে। আহতদের পক্ষে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।