প্রেমিকার ‘আবদার মেটাতে’ অপহরণের নাটক, অবশেষে ধরা
প্রেমিকার ‘আবদার’ বলে কথা, নিয়ে যেতে হবে ঘুরতে। কিন্তু, সে সুযোগ নেই তামিম মিয়ার (২১)। পরে দুজনে মিলে সাজান অপহরণের নাটক। বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। তার আগে জুতার দোকানে চাকরির কথা বলে তামিম তাঁর মায়ের কাছ থেকে নেন বিশ হাজার টাকা। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি তাঁদের। পাঁচ দিন ঘুরেফিরে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়।
তামিম কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছেলে। বাবা মারা গেছেন। মা বড় করে তুলেছেন তাঁকে। সেই মায়ের সঙ্গে এমন কাণ্ডে হতবাক অনেকে। অবাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরাও।
তামিমের মা জানান, পাঁচ দিন আগে তামিম ঢাকায় একটি জুতার কারখানায় কাজ করবে বলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপরই তাঁর মুঠোফোনে একটি নম্বর থেকে কল আসে। জানানো হয়, তাঁর ছেলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছে।
ওই পাশ থেকে নারীকণ্ঠে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়—ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দিতে হবে এক লাখ টাকা।
ঘটনার দুদিন পর কোনো উপায় না পেয়ে তামিমের মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কুলিয়ারচর থানায় করেন অভিযোগ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহর থেকেই ধরা পড়ে ওই জুটি। পরে তাঁরা অপহরণের নাটকের কথা স্বীকার করেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মায়ের কাছ থেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পরই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা যুবক তামিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর যুবক ও তাঁর প্রেমিকাকে বুঝিয়ে যাঁর যাঁর অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’