ফেনীতে প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে দুবাই প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকালে শহরের নাজির রোড এলাকার চৌধুরী সুলতান ভবনের ষষ্ঠতলা থেকে ওই স্বামীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই প্রবাসীর নাম মো. সোহেল (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটুরিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্ত্রী শিউলি আক্তার।
প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা জানায়, দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলের সৎমাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী শিউলি আক্তারের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত কোরবানির ঈদে প্রবাসী সোহেল দেশে ফিরলে সৎমায়ের ভরণপোষণ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হলে স্ত্রী শিউলি আক্তার বটি দিয়ে স্বামী সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।
পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া জানান, তিনি রাত ২টার দিকে সোহেলের স্ত্রী শিউলিকে তার ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে নামতে দেখেছেন। সকালে তিনি দারোয়ানের কাছে জানতে পারেন শিউলি তার বাবা মারা গেছে বলে রাতে দারোয়ানকে গেট খুলে দিতে বলেন। পরে ছেলেমেয়েকে নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে ফেনির পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে সিআইডি ও পিবিআই ক্রাইম সিনে কাজ করছে। আমরা আশপাশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তার (নিহত সোহেলের) স্ত্রী ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রাত ২টা-আড়াইটার দিকে বাসা থেকে চলে যান। আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই আমরা নিশ্চিত হতে পারব, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না; বা হত্যাকাণ্ডে তাকে কেউ প্ররোচণা দিয়েছে কি না।’
নিহত সোহেল প্রবাসে থাকলেও তাঁর স্ত্রী শিউলী আক্তার দুই সন্তানসহ সৎশাশুড়িকে নিয়ে ভবনটিতে ভাড়া থাকতেন।