ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর ইন্তেকাল
বরেণ্য রাজনীতিবিদ ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী আর নেই। গতকাল রোববার রাত ২টা ২০ মিনিটে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
২০১১ সালে প্রথমে আজিজ আহম্মদ চৌধুরী জেলা পরিষদ প্রশাসক হন। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরী ও মা আজিজের নেছা চৌধুরানী। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের হাসানপুর চৌধুরীবাড়ী। ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। কিছুদিন পর রাজনীতি আর সমাজসেবায় সক্রিয় হন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭৩ সালে ছাগলনাইয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এবং ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সভাপতি আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে জাতীয় পরিষদ সদস্য মনোনীত হন। জীবদ্দশায় ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।
নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হাসানপুর আলিম মাদ্রাসা ও হাসানপুর শাহ আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি ছিলেন আজিজ আহম্মদ চৌধুরী। এ ছাড়া ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, প্রবীণ হিতৈষী সংঘসহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরীর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেন ‘সুলতান অ্যান্ড সন্স’।