বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে নিহতদের বাড়ি শোকের মাতম
ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতরা শরীয়তপুরের বাসিন্দা। নিহতদের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন তাঁরা।
হাজেরা বেগম (৭০)। তাঁর বাড়ি ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার মাদবরকান্দি গ্রামে। তিনি ঢাকায় তাঁর ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ফিরেছেন জীবিত নয়, মরদেহ হয়ে। একই উপজেলার ঢালীকান্দি গ্রামের সাইফুল লাকুরিয়া (৩০)। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরিবারে সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনিও বাড়িতে এসেছেন, জীবিত নয়—মরদেহ হয়ে।
বাস দুর্ঘটনা কেরে নিয়েছে তাঁদের জীবন। তাই নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ দুপুরে তাঁদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাঁদের আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন সমবেদনা জানাতে।
ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, বিকল হওয়া একটি ট্রাকের সঙ্গে পিছন থেকে শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের বাসটি ধাক্কা মারলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন হাজেরা বেগম (৫০) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)। তাঁদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারহানা জানান, হাসপাতালে যাঁদের আনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে দুজন নিহত রয়েছে। তারা হলেন আরিফ (২৩) ও একজন অজ্ঞাত পরিচয় নারী। গুরুতর আহত ১৮ জনের মধ্যে চার জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।