বরিশালে স্বামীকে হত্যায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
বরিশালের বাবুগঞ্জে স্বামীকে হত্যার অপরাধে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক টিএম মুসা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাবুগঞ্জের দক্ষিণ চাঁদপাশার আ. সত্তার হাওলাদারের মেয়ে শারমিন জাহান সুমা ওরফে ময়না এবং পরকীয়া প্রেমিক বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার মনির হোসেন ওরফে উজ্জল ফকির।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কবিরুল ইসলাম লিটন ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দায় আসামি মনির হোসেন ওরফে উজ্জল ফকিরের বাসায় বেড়াতে আসেন। তাকে অপরহণের পর হত্যা শেষে লাশ কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেয়। ওই বছর ৩ এপ্রিল লিটনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই বন্দর থানার এসআই হেমায়েত কবির বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে পরকীয়ার কারণে ভিকটিম কবিরুল ইসলাম লিটনকে তার স্ত্রী ময়না ও তার পরকীয়া প্রেমিক মনির হত্যা করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ময়না এবং মনিরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষ ২৪ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত ওই দুইজনকে সাজা দেন।
আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি লস্কর নুরুল হক।