বরেণ্য সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকালে মারা যান তিনি।
মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘মিতা হক সকাল ৬টা ২০ মিনিটে চলে গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’
আজ বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। তাঁকে দাফন করা হবে কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায়।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায়। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তাঁর চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।। ‘সুরতীর্থ’ নামে একটি গানের স্কুলও রয়েছে তাঁর।