বর্ষবরণে বোমা হামলা : ২২ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার
রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার রায় ২২ বছরেও হয়নি। একই ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখারের আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ৮৪ জনের মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলায় আগামী ১৭ মে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (অতিরিক্ত পিপি) মাহবুবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিস্ফোরক মামলায় ৮৪ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যর জন্য রাখা হয়েছে। আশাকরছি দ্রুত বিচার শেষে রায় ঘোষণা করা হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য রয়েছে। সেদিন বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছি।’
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন মুফতি হান্নানসহ আট জনের মৃত্যুদণ্ড ও অপর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মাওলানা তাজউদ্দিন (পলাতক), মাওলানা আকবর হোসাইন, মুফতি আব্দুল হাই (পলাতক), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর (পলাতক), মাওলানা আবু বকর, মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক) ও আরিফ হাসান সুমন। দণ্ডপ্রাপ্ত এ আট আসামিকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ ও মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল।
বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলার আসামিরা হলেন—মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সী ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। পরে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।