বস্তির অগ্নিনিরাপত্তায় ফায়ার হাইড্রেন্ট : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বস্তিবাসীর কল্যাণে বস্তিগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবস্থা করা হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা বস্তিবাসীর মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কেউই খাবারের কষ্ট পাবে না, তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের জন্য পাঁচ হাজার করে টাকা, তিন বেলা খাবার, ঢেউটিন ও প্রায় দুই হাজার টাকার শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও, প্রত্যেক পরিবারকে থালা-বাটিসহ একটি করে ক্রোকারিজ বক্স প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তৃতীয় ও সপ্তম শ্রেণির দুজন ছাত্রীর হাতে বইপত্র তুলে দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অগ্নিকাণ্ডে কোনো শিক্ষার্থী বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ সমস্যায় ভুগবে না। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বস্তিবাসীর বিষয়ে সরকার এবং ডিএনসিসি খুবই আন্তরিক। ইতোমধ্যে কড়াইল বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, অন্যান্য বছর সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীর রাস্তাঘাট ডুবে যেতো, জলজটে নগরবাসীকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতেও নগরবাসীকে জলজট সমস্যায় ভুগতে হয়নি। যেমন গত ১ জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি সুস্থ, সুন্দর নগরী গড়ে তোলার জন্য সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জনকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
আর্থিক সহায়তা প্রদান ও ত্রাণ বিতরণকালে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।