বাগেরহাটে আজ রোববার চলছে ‘কঠোর লকডাউনে’র চতুর্থ দিন। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪০টি মামলা দিয়ে ১৪২ জনকে ৩১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাইন না মানায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।

এদিকে বাগেরহাট জেলা সদরসহ নয়টি উপজেলায় রোদ ও বৃষ্টির মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। লকডাউনে জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাগেরহাট শহরসহ অন্য উপজেলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ও মোংলা উপজেলায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছে। জনসাধারণ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

বাগেরহাটের হাট-বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া লোকের সংখ্যাও কম। তবে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে জরুরি পণ্য সরবরাহ ছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে।

সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ দোকানপাট, নৌযান, সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রয়েছে। শুধু কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রয়েছে।

লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশব্যাপী শুরু হওয়া লকডাউন বাগেরহাটে বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। লোকজন যাতে বাড়িতে থাকে এবং অপ্রয়োজনে যাতে বাইরে না বেরোতে পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’