বাঘের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না গোলাখালী দ্বীপের মানুষ
বাঘের আতঙ্ক কাটছে না শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালী দ্বীপের মানুষের। বাঘের ভয়ে তারা রাতে এমনকি দিনেও ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না। কারণ কয়েকদিন আগে ওই এলাকা থেকে ঘুরে গেছে মানুষখেকো রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
শ্যামনগরের এই গোলাখালী দ্বীপে ১২৫টি পরিবার বসবাস করে। গ্রামটি একদিকে সুন্দরবনের সাথে সংযুক্ত আর তিন দিকে নদী। এই এলাকার বাসিন্দারা সবাই মৎস্যজীবী। দ্বীপটি শ্যামনগর উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত রোববার (১০ জুলাই) ঈদের দিন বিকেলে একটি মধ্যবয়স্ক বাঘকে গোলাখালী গ্রামের চিংড়ি ঘেরের মধ্য দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। সেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করার পর গ্রামবাসী বিভিন্নভাবে আওয়াজ করে বাঘটিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বাঘটি বনের মধ্যে ঢুকে যায়।
গোলাখালী গ্রামের চিংড়ি ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার সকালে তার ঘেরের আইলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। বাঘ যে এলাকা পছন্দ করে সেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। এজন্য বাঘটি ওই এলাকায় পুনরায় আসতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও জানান।
তিনি আরও বলেন, বাঘের ভয়ে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত। এছাড়া লোকালয়ে আসা অধিকাংশ বাঘ বয়স্ক ও মানুষখেকো হয়ে থাকে। এজন্যই মানুষ বেশি ভয় পাচ্ছে।
সাতক্ষীরার সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, বাঘটি ওই এলাকায় অনেকক্ষণ ছিল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গবাদিপশু যেন বনের আশপাশে না যায় সে ব্যাপারেও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে।