বাথরুমে মাদ্রাসাশিক্ষককে জবাই, স্ত্রী আটক
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় তোফাজ্জল হোসেন (৩০) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তোফাজ্জলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার হ্যাপিকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পুবাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের দরবেশেরকান্দা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে চালাকচর গ্রামের কাজিম উদ্দিনের সঙ্গে আয়েশা আক্তারের বিয়ে হয়। ওই সংসারে সামি (১৩) নামে তাঁর এক ছেলে রয়েছে। ১০ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গেলে তিনি বাবার বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন। পরে মনোহরদীর একদুয়ারিয়া দরবেশেরকান্দা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ছেলেকে ভর্তি করান। একই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তোফাজ্জল হোসেন। সেই সুবাদে তোফাজ্জলের সঙ্গে আয়েশা আক্তারের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ বছরের রমজান মাসে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন এবং মনোহরদীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের পর কিছুদিন দুজনের মাঝে সম্পর্ক ভালো থাকলেওতিন মাস ধরে দেখা দেয় তিক্ততা। প্রায় প্রতিদিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া এবং মারামারি হতো। আজ ভোরের দিকে তোফাজ্জল বাথরুমে যান। কিন্তু অনেক সময় পরেও তিনি বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় সন্দেহ সৃষ্টি হয় স্ত্রীর। পরে লোকজন ডেকে নিয়ে এসে দরজা ভেঙে দেখেন তাঁর গলা কাটা, পাশে রক্তাক্ত বটি পড়ে রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তিনি বাথরুমেই মারা যান বল ধারণা করছে স্থানীয়রা।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’