বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত এক বাংলাদেশি
বান্দরবানের দৌছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি নাগরিকের ডান পায়ের নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাদের। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মাইন বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্তবর্তী ছেড়াকুম এলাকায় মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গরু আনতে যায় ক’জন বাংলাদেশি। এ সময় সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে কাঁটাতারের কাছাকাছি পৌঁছালে মাটির নীচে মিয়ানমার বাহিনীর পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে আব্দুল কাদেরের ডান পায়ের নীচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। এছাড়াও তার চোখ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চোখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। তবে তারা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, ‘সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গরু আনতে গিয়েছিল আহত ব্যক্তিসহ কয়েকজন। মাইন বিস্ফোরণের পর আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল মিয়ানমারের সীমারেখায় পড়েছে।’
প্রসঙ্গত: গত রোববার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এ সময় সাহাবুল্লাহ নামে আরও একজন রোহিঙ্গা যুবক আহত হয়। এর আগে গতমাসে তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি পাহাড়ি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।