বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে
নিম্নস্তুরের সিগারেটের মূল্যস্তর বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিড়ি ভোক্তা পক্ষ। ভৈরব টেলিভিশন সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় গত বৃহস্পতিবার এ দাবি তুলে ধরেন ভোক্তা পক্ষ।
গত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভোক্তা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. মাসুদ মিয়া, রাজু আহমেদ, আরমান খান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মো. হারুন মিয়া বলেন, ‘বিড়ি দেশীয় কুটির শিল্প। এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও ভোক্তা সবাই দরিদ্র শ্রেণির। অপরদিকে, ধনী শ্রেণির মানুষ সিগারেট ধূমপান করে। কিন্তু গত বাজেটে বিড়িতে প্রতি প্যাকেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল চার টাকা। অপরদিকে বিড়ির প্রতিযোগী নিম্ন স্তরের সিগারেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল মাত্র দুই টাকা। বর্তমান বাজারে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তাই বেশি। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। ফলে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিড়ির বাজার সহজেই দখল করে এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংস হয়ে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে। যা চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক।
ভোক্তা পক্ষের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে গত বাজেটে বিড়ির ওপর প্রতি প্যাকেটে বৃদ্ধিকৃত চার টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, সিগারেটের মতো বিড়ি বন্ধের মেয়াদ একই রাখা, নকল বিড়ির ব্যবসা বন্ধ করা।
সমাবেশ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।