যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতফেরত বাংলাদেশিদের জন্য আরোপিত শর্ত শিথিল করল সরকার। চার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের একটি পরিপত্র গতকাল রোববার বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এসে পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্রে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার থেকেই বেনাপোল চেকপোস্টে মন্ত্রণালয়ের আদেশ প্রতিপালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা আহসান হাবিব।

সরকারের ওই পরিপত্রে বলা হয়, ক্যানসার ও কিডনি আক্রান্ত কোনো রোগী কিংবা গর্ভবতী নারী এবং দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী  নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশে ফেরার ক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীকে কোলকাতার  বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেশে ফেরার ছাড়পত্র এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯  নেগেটিভ সনদ আনতে হবে। আগের নিয়মানুযায়ী ভারতফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো।

ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা আহসান হাবিব আরও জানান, দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার এবং  ভারতগামী সাধারণ যাত্রীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বানুমতি গ্রহণের নিদর্শনা প্রত্যাহার করে গত সপ্তাহে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পত্র পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার সরকারে এই সিদ্ধান্তে ভারতফেরত ক্যান্সার আক্রান্ত যাত্রী নরসিংদীর কান্দিপাড়ার সৌমেন সাহা সন্তোষ প্রকাশ করেন।