বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের আধিপত্য নিতে দুই পক্ষ গতকাল সোমবার সকালে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল ১১টার মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ভারত থেকে ৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা প্রায় শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার আঘাতে এক পুলিশসহ সাত শ্রমিক আহত হন।
শ্রমিক ইউনিয়নের (৯২৫) সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে শ্রমিকরা বন্দরে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে আসছেন। কিন্তু একটি পক্ষ তা ভালোভাবে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বন্দরের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। এ ঘটনায় গতকাল বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুইয়া জানান, বন্দরে সন্ত্রাসীদের মুহুর্মুহু হামলার ঘটনায় ৩৬ জনকে আসামি করে আজ সকালে তিনটি মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়। এসব মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বোমা,পিস্তল ও গুলি। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশি আশ্বাসে বন্দর শ্রমিকরা আজ সকাল থেকে কাজে যোগদান করেছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস চলছে। আজ সকাল থেকে ২৩৮ ট্রাক মালামাল আমদানি ও ৮৯ ট্রাক মালামাল রপ্তানি হয়েছে ভারতে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, গতকাল বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।