ভৈরবে দুই চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত ১০
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে একে অন্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লিটন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউপি নির্বাচনে আৎকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রিগান, উজ্জ্বল, রফিক, সজল, আমির হামজা, বাক্কি মিয়া, আপন, সাইদ, শরীফ ও মামুন মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে প্রায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে জালভোট দিচ্ছেন—এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লিটন মিয়া তাঁর কয়েকশ সমর্থক নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হামলা করলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিকুর রহমান সবুজ ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে এবং র্যাব-বিজিবি ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ভোটগ্রহণ চলছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আৎকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত তৎপরতায় পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।