ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভোলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তদন্তে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। এসব অভিযোগের তীর একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলম চৌধুরী ও তাঁর ছেলের দিকে। যদিও আদালতের আদেশ অমান্য করলে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদেরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে মো. বদরুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলম চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছে। ইউনিয়নের দরুন বাজারের পাশে ১১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরোধীয় ওই জমিতে আদালত ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
অভিযোগসূত্র বলছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা ওই জমিতে গতকাল বুধবার দিনগত গভীর রাতে মাহবুব আলম চৌধুরীর লোকেরা টিন দিয়ে ঘর উত্তোলন করেছেন। তার চারপাশ দখলে নেওয়ার জন্য আগে থেকেই ইট দিয়ে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করেছেন তাঁরা। অথচ সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। এ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। কিন্তু, কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর গতকাল রাতে টিনের ঘর তোলার ঘটনা ঘটল।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে টিনের ঘর তোলার খবর বোরহানউদ্দিন থানায় জানালে থানা থেকে পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাহফুজ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. বদরুজ্জামান চৌধুরীর করা অভিযোগের সতত্য পেয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়ির সামনে যান পুলিশের এই কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এ সময় মাহবুবের ছেলে শিথিল চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন এএসআই মাহফুজের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মাহাবুব আলম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জমি এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে।’ এ সময় তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা দেওয়াল নির্মাণের কথা স্বীকার করেন। তবে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এসব বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী যে-ই হোক না কেন, তাকে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’