ভ্যাকসিন নিয়ে লুকোচুরি করছে সরকার : মির্জা ফখরুল
সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে জনগণের সঙ্গে লুকোচুরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ আদৌ ভ্যাকসিন পাবে কিনা সে বিষয়ে কোনো রোডম্যাপ নেই।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিক উপলক্ষে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ভারতের কাছ থেকে অনেক বেশি দামে করোনার ভ্যাকসিন আনছে শুধু নিজেদের লোকদের চুরি-ডাকাতিকে প্রশ্রয় দিতে।
আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মই হয়েছে নেতা হয়ে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জীবনের প্রতিটা স্তরে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী (সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া) একজন লিডার। এবং তিনি আমাদের একটা আলাদা ভূখণ্ড, একটা আলাদা জাতিসত্ত্বা ও আমাদের একটা পরিচিতি দিয়েছিলেন। আমরা শুধু বাঙালি নই, আমরা শুধু মারমা নই, আমরা চাকমা নই, অবাঙালি নই, বিহারি নই, আমরা ভারতীয় নই, আমরা হলাম বাংলাদেশি। এই ভূখণ্ডে বাস করা মানুষদের আমরা চিনি আমরা বাংলাদেশি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের যে দর্শন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ, আর এই জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে শহীদ জিয়া আমাদের সেই পরিচয়টা দিয়েছেন। এত শক্তি সেই দর্শনের। আজকে এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা প্রতি মুহূর্তে চাচ্ছে এই দেশটা থেকে জিয়াউর রহমানের নামটি মুছে ফেলতে, বিএনপির নামটি মুছে ফেলতে। তারা বাংলাদেশি এই জাতীয়তাবাদকে মুছতে পারেনি। কারণ তারপর থেকে লিখতে হয় জাতীয়তা বাংলাদেশি। আর পরিচয়টাই আমাদের দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, কলেজ, স্থাপনা সব জায়গা থেকে তারা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু পারছে কি? পারছে না। কারণ জিয়াউর রহমান একেবারে মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই চলে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে চলে গেছেন। আজকে না, দীর্ঘকাল ধরে। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম কেউ মুছতে পারেনি, মোছা সম্ভবও নয়।
আওয়ামী লীগ করোনা নিয়েও লুটপাট করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রথম দিকে করল টেস্ট নিয়ে, করোনা টেস্ট নিয়ে, রিজেন্ট হাসপাতাল আর সাবরিনাদের দিয়ে তারা লুটপাট করল। আজকে যে ভ্যাকসিন দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচবে, সেটা নিয়েও লুটপাট শুরু করেছে। অনেক বেশি দাম দিয়ে ভারতের কাছ থেকে নিয়ে আসতেছে। আর এই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষ পাবে কিনা তারও কোনো রোডম্যাপ নাই। আগে বলছে ২০ লাখ আসবে। আর ২০ লাখ কারা পাবে সেটাও আমরা জানি না। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে আসবে, সেটা কারা পাবে সেটাও আমরা জানি না। আমরা যারা সাধারণ মানুষ কখন তা পাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় সংগঠনের অন্য নেতাকর্মী ও বিএনপির অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।