মানবাধিকার লঙ্ঘন আওয়ামী লীগের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন আওয়ামী লীগের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অচিরেই তার জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দলের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। আলোচনায় গত ১০ বছরে দেশের সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ভার্চুয়াল এ আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, এ সরকারের শাসনামলে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী আসামি হয়েছেন মামলার, হত্যা হয়েছে হাজার নেতাকর্মী, গুম হয়েছে ৯০০ নেতাকর্মী। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী এ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সবার সহায়তা চান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই মানবাধিকার লঙ্ঘন আওয়ামী লীগের স্বাভাবিক জীবনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। এজন্য তাদেরকে অবশ্যই একদিন না একদিন, অতি নিকটে জনগণের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আসুন সবাই একজোট হই। আমার অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকেই উদ্যোগ নিয়ে আজকে জনগণকে সঙ্গে নিতে হবে। আই উড লাইক টু রিকোয়েস্ট মেম্বারস অব দ্যা ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি, প্লিজ; স্পেশালি দ্যা ডেমোক্রেটিক কান্ট্রি দে শুড রাইট অন দ্যা অকেশন অ্যান্ড দে শুড ডু সামথিং ফর দ্যা পিপল, হু লাভ ডেমোক্রেসি।’
দেশ একটি ব্যর্থ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আলোচনায় অংশ নেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'ফ্রম দিস মিটিং, ইউ ক্যান রিকমেন্ড, দ্যাট এ হাই পাওয়ার জুডিশিয়াল কমিশন শুড বি কন্সটিটিউড। অ্যান্ড দেন বাই ফরমাল চিফ জার্সিস ডু ক্যান অল দিস ভায়োলেশন।’
আলোচনায় যুক্ত ছিলেন বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা। গুমের শিকার হওয়াদের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন আলোচনায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করা হয় আলোচনা সভায়।