মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের জন্য চালককে খুন, তিন আসামি গ্রেপ্তার
মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের জন্যই খুন করা হয় খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাহিন্দ্রচালক মো. ফারুক হোসেনকে (২০)। এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর এমনটাই জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুম (২৮)।
শনিবার বিকেলের দিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনকে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া মাহিন্দ্রটি।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে মাসুম, হামিদুল ও ফরিদকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনুর আলম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে মূল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুম খাগড়াছড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’
পুলিশ পরিদর্শক আরো জানান, মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের জন্যই মাসুম, আবু মুছা ও শাহনাজ আক্তার গত ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ফারুকের মাহেন্দ্রটি রিজার্ভ করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে মানিকছড়ি নামিয়ে দিয়ে আসার কথা ছিল। মানিকছড়ি যাওয়ার পথে মাটিরাঙ্গার অদূরে ১০ নম্বর এলাকায় এলে প্রস্রাব করার কথা বলে মাহিন্দ্র থামায়। মাহিন্দ্র থামানোর পর তাঁরা শ্বাসরোধ করে ফারুককে হত্যা করে মাহিন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে তাদের পূর্বপরিচিত গ্যারেজ মেকানিক মো. শাকিলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনের কাছে এক লাখ টাকায় গাড়িটি বিক্রি করেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া জানান, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটির লংগদু ও চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মাহিন্দ্রটি উদ্ধার করা হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার অদূরে ১০ নম্বর এলাকায় মো. ফারুক নামের ওই মাহিন্দ্র চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।